রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার দিকে সেখানে রেকর্ড হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে সকাল ছয়টায় এই তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। সারাদেশে ১০-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শীত পড়তে শুরু করেছে।’
রাতে এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। আবুল কালাম বলেন, ‘দিনের বেলায় ঠাণ্ডা অনুভূত হতে থাকায় ধারণা করছি যে রাতে এই তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে। সারাদেশেই এটা হতে পারে।’
দৃষ্টিসীমা থাকতে পারে ৫০০ মিটারেরও কম
দেশের নদী অববাহিকায় কুয়াশা থাকায় দৃষ্টিসীমা কোথাও কোথাও ৫০০ মিটারেরও কম থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার বা কোথাও কোথাও এর চেয়ে কম হতে পারে। এসব এলাকার নৌ-যানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তবে কোনো সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত জেলার তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদরা জানান, দিনের সিংহভাগই এই জেলার আকাশ মেঘে ঢাকা থাকছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই জেলার তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১০-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
উত্তরবঙ্গে জীবিকা অন্বেষণে প্রতিবন্ধকতা
এদিকে ব্যাপক ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় উত্তরবঙ্গে নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্ররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের জীবিকা অন্বেষণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। সকালে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সড়কে শ্রমজীবীদের মাফলার, টুপি, সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট পরে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।