বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের আপন ভাগ্নে সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মানিকপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামী রুবেল বালী (৩৫), ২ নং আসামী ও এমপি’র ভাগ্নে জামালউদ্দিন মিয়াজী (৩০) কে গ্রেপ্তার করে। আগের দিন রাতে একই মামলার আসামী ওসমান গণি (৩১), আবু বক্কর (২৯) ও জুয়েল রানা (২৬)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর ঘনিষ্ট সহচর ও জামালউদ্দিন সম্পর্কে আপন ভাগ্নে হয়। বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খাঁন গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামীদের নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর থেকেই আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার রাতে রুবেল ও জামালকে উপজেলার মানিকপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের করিম বালীর ছেলে, জামালউদ্দিন বনপাড়া পৌর শহরের মালিপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। অন্য আসামী ওসমান মালিপাড়ার শের আলীর, আবু বক্কর একই এলাকার ফজলুল হকের ও জুয়েল রানা উপলশহর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফের কার্যালয়ে ঢুকে তাকে মারধর ও গালিগালাজ করে এবং ওই শিক্ষা কর্মকর্তার হাত কেটে নেওয়া সহ গুলি করে মেরে ফেলার হুমকী দেয় স্থানীয় এমপি’র ভাগ্নে ও ঘনিষ্ট সহচর সহ ৩০/৩৫ ক্যাডার। পরে শিক্ষা কর্মকর্তা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীকে বলেন, আমার নাম জড়িয়ে যারা এই জঘন্য কাজটি ঘটিয়েছে তারা কেহ আওয়ামীলীগের অনুসারী হতে পারে না এবং আমিও তাদের চিনি না। অপরাধীরা যেই-ই হোক তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।