আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। এরপর থেকেই শুরু হবে ভোটের প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা নামতে পারবেন প্রার্থীরা।
আজ থেকে তারা নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে ভোটারদের কাছে যাবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাওয়া শুরু করবেন। সেই প্রচারণা ঘিরে সারাদেশে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এর আগে ভোটগ্রহণের ৫২ দিন পূর্বে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর একে একে শেষ হয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার কার্যক্রম। এবার প্রতীক বরাদ্দের পালা।
জাতীয় নির্বাচনে ইসির বৈধতা পাওয়া প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের বরাবর আবেদন করে প্রার্থীদের অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এরপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ইসি।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন দুই হাজার ৭১৬ জন। বাছাইয়ে বাতিল হয় ৭৩১ প্রার্থী। আপিল দায়ের করা হয় ৫৬০টি; মঞ্জুর হয় ২৮৬টি। আপিল নামঞ্জুর হয় ২৭৪টি।
রোববার সারা দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে ৩৪৭টি, স্থগিত আছে পাঁচটি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন।
তিনি আরও বলেন, মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। আমাদের ২৮টি রাজনৈতিক দল থেকে গণতন্ত্রী পার্টি বাদ গিয়েছে। সব প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি মেনে চলতে আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দলীয় ও জোট শরিক প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তালিকা মোতাবেক, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৩ আসনে লড়বে। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এরমধ্যে ৫টি আসন ইসির বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়।
জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।