নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলিং তোপে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। এবার ৫০ ওভারে মাত্র ৯৯ রান তুলতে পারলেই প্রথমবারের মতো দেশটির মাটিতে ওয়ানডে ম্যাচ জিতবে টাইগার বাহিনী।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টায় নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল দায়িত্ব পালন করেন তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম।
দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ওপেনার রাচিনকে ফেরান পেসার তানজিম সাকিব। কিউই এই ওপেনার আউট হয়েছেন ১২ বলে ৮ রান করে। তানজিমের করা বলটিতে বেশ সুইং ছিল। স্টাম্প বরাবর আসা বলে খোঁচা দেন রাচিন। তাতে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ চলে যায়। অভিজ্ঞ মুশফিক সেটি লুফে নিতে দেরি করেননি।
রাচিনের পরে উইকেটে আসেন হেনরি নিকোলস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যানকেও সাজঘরে পাঠান সাকিব। ৭.২ ওভারে মাত্র ১ রান করে সাকিবের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নিকোলস। এরপরে ইয়াংকে নিয়ে ৫৫ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক লাথাম। এই জুটি ভাঙার দায়িত্ব নেন শরিফুল।
১৬.৩ ওভারে লাথামকে (৩৪ বলে ২১ রান) সরাসরি বোল্ড করেন পেসার শরিফুল। এ দিকে একের পর এক উইকেট পড়লেও অপর প্রান্তে অনড় ছিলেন ওপেনার ইয়াং। শরিফুল তাকেও ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন। ১৮.৪ ওভারে ৪৩ বলে ২৬ রান করা কিউই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠান তিনি। এরপরে ২০.২ ওভারে ২ রান করা মার্ক চাপম্যানকে বোল্ড করেন শরিফুল।
শরিফুলের ৩ উইকেট দখল হলে পিছিয়ে থাকা তানজিম সাকিবও ৩ উইকেট নিয়ে সমতায় আসেন। তাতে মনে হয়েছে দুজনে যেন উইকেট দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। সাকিবের তৃতীয় ও বাংলাদেশের ষষ্ঠ শিকার হন ১৭ বলে ৪ রান করা টম ব্লান্ডেল।
শরিফুল-তানজিমের পরে চালকের আসনে বসেন সৌম্য সরকার। তিনি তুলে নেন জস ক্লার্কসন (২৩ বলে ১৬ রান) ও অ্যাডাম মিলনের (২০ বলে ৪ রান) উইকেট। আর ২টি উইকেটই সৌম্য নিয়েছেন সরাসরি বোল্ড আউট করে। এরপরে আদিথ্য অশোককেও (১২ বলে ১০ রান) ফেরান সৌম্য। ৩০.৪ ওভারে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অশোক।
অশোকের পরে আরও ৬টি বল খেলার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ড। তবে সেই ৬ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি জ্যাকব ডাফি ও উইলিয়াম ও’ররকে। শেষ পর্যন্ত ও’ররকে বোল্ড করে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন মুস্তাফিজ।