গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে নাশকতার মূলহোতা ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। রেললাইন কাটায় সরাসরি অংশ নেন গাজীপুর মহানগরীর ২৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইমন হোসেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, কবির যুবদলের একজন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান। নির্দেশনা মোতাবেক তিনি গাজীপুরে ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একজন আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের আহ্বাক তোহা, আরেকজন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ দু’জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা দু’জন স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বাসায় বৈঠক করেন। তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নাট-বল্টু খুলে রেল চলাচল বিঘ্ন ঘটাবে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করে সেটি করতে পারেনি। তাই পরবর্তীতে কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেললাইন কাটার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকোমোটিভ মাস্টারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।