প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরে যাচ্ছেন। সেখানে পৃথক দুটি (তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ) উপজেলায় নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক) জিন্নাত হোসেন লাভলু গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর পৌঁছাবেন। এরপর তিনি সড়কপথে গিয়ে বেলা ১১টায় তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেবেন। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের সমর্থনে এ জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।
পরে তিনি আবারও সড়কপথে পীরগঞ্জের ফতেহপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ফতেহপুরে তার স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। সেখানেই তিনি দুপুরের খাবার খাবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সমর্থনে পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেবেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ ও জনসভা সফল করতে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ জনসভায় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল স্লোগানসহ ব্যাপক লোক সমাগম ঘটবে এবং নিকটবর্তী গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামবে।
রংপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম ডিউক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আমি এবং আমার তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ এলাকার মানুষ গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন তারাগঞ্জের মানুষ।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এবারও প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। তার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমি পীরগঞ্জ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছি। তিনি এখানে আসছেন– এ খবরে গোটা রংপুর বিভাগের মানুষ উচ্ছ্বসিত।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পীরগঞ্জে একই মাঠে জনসভা করেছেন। এর আগে তিনি ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা ও লালদীঘির ফতেহপুরের জয়সদনে কর্মীসভা করেন।