উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মুনি আক্তার (৩০) নামে এক গহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছ বলে স্বামীর পরিবারের দাবি। যৌতুক না পেয়ে মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে জামাই ও তার পরিবার। এ অভিযোগ করেছেন মৃত মুনিরার বাবা মো.দুলাল মিয়া। সোমবার বিকালে সে বিষপান করলে চিকিৎসার জন্য কালিয়া হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের মো. মুরছালিন মোল্যার স্ত্রী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মুরছালিন পলাতক রয়েছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, মুরছালিনের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় ৭ বছর আগ রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার হুটকিয়া গ্রামের মো.দুলাল মিয়ার মেয়ে মুনিরা ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টারিতে এক সাথে চাকুরী করতো। চাকুরীর সুবাদে মুরছালিনের সাথে তার পরিচয় ও মন দেয়া নেয়ার মাধ্যমে মুনিরা মুরছালিনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে।
করোনাকালীন সময়ে মুরছালিন স্ত্রীকে নিয়ে কলাবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে চলে আসে এবং সেখানেই বসবাস করছিল। কিন্তু মুরছালিনের পরিবার তাদের প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় পাবিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তারই জের ধরে সোমবার বিকালে ৪ টার দিকে মুনিরা বিষপান করলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মুনিরার বাবা মো.দুলাল মিয়া অভিযাগ করে বলেন, চাহিদামত যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়ে মুনিরাকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যাকান্ডকে ঢাকতে চাইছে জামাই ও তার পরিবার। মেয়ের লাশ দাফনের পর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলার নড়াগাতি থানার ওসি মো.মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।