ইতিহাস গড়ার মূল ভিত্তিটা তৈরি করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের পুরো ইনিংসজুড়েই চাপে রেখে মাত্র ১৩৪ রানে আটকিয়ে রাখে মেহেদী-শরিফুলরা। ১৩৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ চাপে পড়লেও লিটন-সৌম্য-তাওহীদের ব্যাটিংয়ে ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়।
এর আগে, টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়কের বল করতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল সেটির প্রমাণ দেন শেখ মেহেদী এবং শরিফুল। শুরু থেকেই কিউই ব্যাটারদের চাপে রাখেন তারা। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ওপেনার ফিল অ্যালনকে ফেরান মেহেদী। পরের ওভারে জোড়া আঘাত শরিফুলের। টিম সেইফার্ট ও ফ্লেন ফিলিপসকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের বিশাল চাপে ফেলেন তিনি। দুর্দান্ত সেই ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ১ রানে ৩ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন জিমি নিশাম। এছাড়া মিচেল স্যান্টনারের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শরিফুল। শেখ মেহেদী ১৪ রানে ২টি ও মোস্তাফিজুর রহমান ১৫ রানে ২ উইকেট নেন।