নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘নির্বাচনের পর ৫টি কাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। প্রথম ৫ কাজ সম্পন্ন করতে আল্লাহর সহায়তা ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে মাঠে নামব।’
তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূলে মাঠে নামব। খুব কঠিন একটা কাজ। কারণ, এর আগে-পেছনে মুখোশধারী অনেক রাঘববোয়াল রয়েছে। আর ৪টি হলো : সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও ইভটিজিং।’
বুধবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘পরিবারের একজন মাদকসেবি একটি পরিবার ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। মাদক বিক্রেতা হলো এই সমাজের প্রকাশ্য ইবলিস শয়তান। ওই শয়তানকে দমনে আমি একা পারব না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতি ওয়ার্ডে পাড়া মহল্লায় ১ হাজার করে লোক নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করব। হিসাব কষে দেখেছি ৮০ হাজার লোক হবে। সবাইকে নিয়ে মিটিং করব। প্রয়োজনে সেই মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসব।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাদকের বিরুদ্ধে আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবা ও রসূলের রওজা থেকে ওয়াদা করেছি। তাই এটা নিমূর্লে আমি পিছপা হব না। এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এমপি থাকাকালীন আল্লাহর ঘর কাবায় গিয়ে ওয়াদা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জে পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করব, তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুমতি নিয়ে তা উচ্ছেদ করেছিলাম। হাদীস ও কোরআনে শুনেছি, যে এলাকায় জেনাভিত্তি হয় সেখানে আল্লাহর গজব নাজিল হয়। সেই গজব থেকে নারায়ণগঞ্জবাসী রক্ষা পেয়েছে।’
এ সময় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এমপি শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলালসহ প্রমুখ।