নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল (৩২), কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনকে নীলক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ছাপানো ৫০ হাজার লিফলেট, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, তাজা বোমা, গান পাউডারসহ নাশকতায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করার দাবি করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নির্দেশনা এবং নেতৃত্বে গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজ ও নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করে।
ডিবিপ্রধান বলেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর কাটাবনে প্রাইম প্রিন্টারসে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজারের বেশি লিফলেট জব্দ করে পুলিশ। বুধবার রাতে সেখান থেকে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে এসব লিফলেট ও গান পাউডার মজুত করেছিল তারা। এসব গান পাউডার দিয়ে ২০০টির বেশি ককটেল বানানো যেত। ৭ জানুয়ারি কেউ যেন ভোট দিতে না যায়, সেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল লিফলেটে। তারা রাষ্ট্রবিরোধী, সংবিধান, দেশবিরোধী কাজ করছে।
নাশকতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।