নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
‘শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী হন দেশ বাঁচবে, জাতি বাঁচবে, আপনারা বাঁচবেন। নৌকা- বঙ্গবন্ধুর মার্কা, শেখ হাসিনার মার্কা। আমি বলেছিলাম, এই বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালী শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনে দেব। ২০১৪ সালের মধ্যেই আমার নির্বাচনী এলাকা আমি শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছি।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর খেলার মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে মিথ্যাচার আমি করি না। আপনারা আপনাদের মহামূল্যবান ভোট টাকার কাছে বিক্রি করবেন না।জনৈক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে বলেন, তোমার বয়স ৪৬ বছর। আর আমার রাজনীতির বয়সই ৫৭ বছর। আমি যেদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছি সেদিন তুমি মায়ের পেটে পর্যন্ত আসোনি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম সুজা ও যুগ্ম সম্পাদক কামাল আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিশেষ অতিথি মাশরাফি বিন মর্তুজা তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনারা ভোট দেবেন। আব্দুর রহমানকে জয়ী করার জন্য ভোট দেবেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাকে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি মালিক খসরু বলেন, স্বতন্ত্র মানে নিজের। স্বতন্ত্র প্রার্থীর টাকা আপনাদের, টাকা দিলে নেবেন। কিন্তু ভোটটা নৌকাতেই দেবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাকি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা মিথ্যাচার, এটা প্রোপাগান্ডা। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা, জাতির পিতার প্রতীক নৌকা। গতবারের মতো বিনাভোটে যাতে কেউ নির্বাচিত না হয় সেজন্য ডামি প্রার্থী রাখার কথা বলা হয়েছিলো। নৌকার প্রার্থীই একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ১৯৭৫ সালের পরে আওয়ামী লীগ এ আসনে পরাজিত হয়নি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খান মইনুল ইসলাম মোস্তাক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি আবেগের নাম, একটি ভালোবাসার নাম, একটি অনুরাগের নাম। অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুধু ক্ষতিই করেছে। কোন ষড়যন্ত্রকারী আওয়ামী লীগের কাছে টিকবে না, শেখ হাসিনার কাছে টিকবে না, নৌকার কাছে টিকবে না। এ আসনে নৌকার জয় সুনিশ্চিত।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার বলেন, এটা এমপি বানানোর নির্বাচন, এটা মন্ত্রী বানানোর নির্বাচন। আলফাডাঙ্গার মানুষ বঙ্গবন্ধুর মার্কা নৌকাকে ভুলে যায়নি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা আলফাডাঙ্গাতেই থাকবো। নৌকাকে বিজয়ী করেই আমরা এ এলাকা ছাড়বো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খান মইনুল ইসলাম মোস্তাক, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বখতিয়ার রহমান বতু, বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ শামীম রেজা, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।