প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটি পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটি পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা। মোটামুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই সেটিকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায়। নির্বাচনে দুই-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই বলে এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কিছু নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য এ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা।
সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে; তবে গণতন্ত্র এখনও নিরবচ্ছিন্ন হয়নি। তবে এবার ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বিদেশিদের এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলার অধিকারও আছে।
ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা দিলে সংকট তৈরি হবে এ কথা জানিয়ে সিইসি সব ধরনের বাধা ও দূর করে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব অনেক। এ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে, সঠিকভাবে কাজ করলে মানুষ নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
সিইসি বলেন, একই দিনে ৪২ থেকে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। তাই অনেককে এখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বোচ্চ দায়িত্ব এ কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কখনও একক সিদ্ধান্তে একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।