মো: সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, জাতিয় সংসদ নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন নির্বাচন। আপনারা একটি ভোট ও গুরুত্ব পুর্ন। আপনি যদি আপনার একটি ভোট ভুল জায়গায় দিয়ে ফেলেন তাহলে এই শার্শা উপজলায় অত্যাচার হবে অনাচার হবে, জুলুম হবে বোনের কোল থেকে স্বামী হারিয়ে যাবে, মায়ের কোল থেকে সন্তান হারিয়ে যাবে তাহলে এর দায়ভার আপনাকেও নিতে হবে। আপনারা জানেন পবিত্র কোরানে বলা আছে আপনারা অপেক্ষকৃত একজন ভাল মানুষকে ভোট দিবেন। আর আপনার এই ভোটটা না দেওয়া ও একটি অপরাধ। কারন আপনি ভোট না দিলে যে মানুষটির নির্বাচিত হওয়ার কথা ছিল সেও পাশ করল না। তাহলে সমাজের নেতৃত্ব ফিরে পেল সেই অত্যাচারি মানুষটি। আবারও ৫ টি বছর আপনারা জ্বলে পুড়ে ছার খার হতে থাকবেন। এখানেও আপনারা দায়মুক্তি হতে পারবেন না। কথাগুলো বললেন প্রধান অতিথি হিসাবে জাতিয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কায়বা ইউনিয়নে এক পথপভায় শার্শা ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন।
সোমবার বিকাল ৪ টার সময় শার্শার কায়বা ইউনিয়ন এর রাঢ়িপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনের পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কায়বা ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলু।
প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমি এমপি হয়ে আপনার বাওড় করে খাব না। আমি আপনাদের অসন্মান করব না। আমি কোন এমপি সাহেব হব না। সমাজে সমাজে ইতর বাদর তৈরী করব না। পিতার বয়সী পিতাকে সন্মান করে না যারা সমাজকে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আমি এরকম একজন মানুষ নই। যারা বাওড় করে খায় খাস জমি নিয়ে মাছ চাষ করে খায় আমি সেই এমপি হতে চাই না। আমি চাই পৃথিবীতে সব থেকে শক্তিশালী জিনিস হচ্ছে মানুষের মুখের হাসি। আজ যে হাসি শার্শা থেকে হারিয়ে গেছে আমি সেই হাসি ফিরিয়ে দিতে চাই। আর আপনারা নেতা বানিয়ে বছরের পর বছর তার দেখা পান না। সেই নেতা আপনার কি উন্নয়ন করবে। যে নেতা ভালবাসার বিনিময়ে আসবে সেই নেতা আপনারা যখন নির্বাচন করবেন সেই নেতা ভাববে আমার এই জনপদের মানুষের কাছে পাহাড় সমান ঋন রয়েছে। আর যে, সস্তায় আপনাকে পাবে টাকার বিনিময়ে আপনার ভোট নিবে সে সমাজে কোন দিন উন্নয়ন করতে পারে না। সে আপনার কাছে ওই ভোটের সময় ছাড়া আর আসবে না।
প্রধান অতিথি বলেন, একটি এলাকার একটি পরিবারের সাথে কি হলো তা নেতার দেখার বিষয় নয়। সেই এলাকায় তো আরো তিন হাজার লোক বসবাস করে। ওই একজন মানুষের বাড়ি যাওয়ার পথ এর জন্য তিন হাজার মানুষ এর রাস্তা বন্ধ করে রাখেন এটা কোন নৈতিকতা? এটা কত প্রতিহিংসা। আজ উনি বুজছেন আমি যা করেছি তা বড় ভুল করেছি। আজ ওই মানুষের দ্বারে দ্বারে কেন ঘুরছেন অসহায়ের মত।
আপনারা জানেন সব নেতা টিআর কাবিরখার টাকা খায় না। সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এখনো ভাল নেতা রয়েছে। আজকের এই নির্বাচন একদিকে শুভ শক্তি আর এক দিকে অশুভ শক্তি। শুভ শক্তি আসা করে যদি তাদের ভোট দেয় তবে সে সমাজের উন্নয়ন করবে। আর অশুভ শক্তির চিন্তা ভাবনা আপনারা ভোটের মাঠে যাবেন না। ভোটের মাঠে গেলে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এসব চিন্তা ভাবনা তাদের মাথায় । এসব মানুষ সমাজের কি উন্নয়ন করবে। আজ তারা ভোটারদের হুমকি দেয়। ভোটাররা যেন মাঠে না যায়। আরে ভোটারদের যদি ভয় পান তাহলে আপনার নির্বাচনে আসা দরকার কি? আগামি ৭ তারিখে আপনি বুঝবেন শার্শার মানুষকে ১৫ টি বছর আপনি কি ভাবে রেখেছেছিলেন। তার জবাব ভোটের মাধ্যেমে দিয়ে শার্শা থেকে আপনারা বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে ছাড়বে। আপনারা জানেন ওরা মানুষকে বলছে তারা যদি ২০ হাজার ভোটও পায় তবে সে পাশ। বলেন যদি ২০ হাজার ভোট পেয়ে পাশ করেন তবে কেন এখনও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে আপানার নোংরা চরিত্র উত্থাপন করছেন। এবার তা হতে দেওয়া যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার কোন অসন্মান করার চেষ্টা করলে এর সমুচিত শিক্ষা শার্শার মানুষ আপনাকে দিয়ে দিবে। কোন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে আপনার পরিনতি হবে অত্যান্ত খারাপ। তাই আসেন ভোটারদের বাধা না দিয়ে আমরা ভোট করি। আমি যদি পরাজিত হই আমি তা মেনে নিব। আর যদি জয়ী হই তাহলে আমি উশৃঙ্খল হয়ে আপনার মত নির্দয় নিষ্ঠুর আচারন করব না কোন মানুষের প্রতি। কারন শার্শার মানুষ আমার প্রানের মানুষ আমার মায়ার মানুষ আমার ভাল বাসার মানুষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান ,মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন বাবলু, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার সরদার, কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা আশাদুজ্জামান হাই, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মানিত সদস্য রবিউল ইসলাম, বেনাপোল পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম এর কার্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম।