নাশকতাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা মিটিং শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আইজিপি বলেন, নাশকতামূলক কার্যক্রম বা নির্বাচনবিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সকল প্রস্তুতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে। নাশকতাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে এবং তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় মাঠে থাকবে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, নারী এবং বয়স্কদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আইজিপি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এর আগে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।