প্রহলাদ মন্ডল সৈকত,রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ফলে মানুষ দিনরাত গরম কাপড় শরীরে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ বৃহস্পতিবার কুয়াশা কিছুটা কমেছে। তার পরেও রাতে বৃষ্টির মতো ফোঁটা ফাঁটা ঝড়ছে কুয়াশা।
বৃহস্পতিবার (৪জানুয়ারি) সকাল ৭টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ৩ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরা বিতরণ করেছে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান।
এদিকে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। এ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে তিস্থা ও ধরলা নদী নদী তীরবর্তী চরের মানুষরা।
শীত ও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবিরা।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করি, সকালে পানির কাজ করতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা বেশি হইছি। আজ (বৃস্পতিবার) কুয়াশা একটু কম, কিন্তু ঠান্ডার মাত্রা কমে নাই।
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালে সর্দ্দী জ্বরের রোগী তেমন ভর্তি নেই। তবে কয়েকদিনে শীতজনীত আউটডোরে ৫শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ বৃহস্পতিবার(৪জানুয়ারী) এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে এই জানুয়ারি মাসে ১-২টি শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।