প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কঠোরভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে। এমন নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি), সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনগণসহ সবাইকে ধন্যবাদ।
মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেহেতু জনগণ ভোট দিয়েছে, তাই যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের ওপর কোনো অনুযোগ রাখা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা বড় খেলা খেলতে চেয়েছিলো তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সুযোগ খুঁজবে। নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বর্জন দলগুলোর উদ্দেশ করে বলেন, ওরা নির্বাচন কিছুতেই হতে দেবে না বলে চক্রান্ত করছিলো, তখন নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনে আর বলতে পারবে না রাতে সিল মারবে। কারণ ব্যালট পেপার রাতে যায়নি। অবশ্য মিথ্যা বলা তাদের চরিত্র। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভোগে। তবে হতাশায় ভোগার কিছু নেই, তাদের ওপর লন্ডন থেকে ওহী নাজিল হয়েছে। তারা নির্বাচনে আসেনি বলে কিছুই আসে যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে দিতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে পারে, সেটি প্রমাণ করেছি। তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা জয়ী হয়েছেন, তারা যেন কারো সাথে দ্বন্দ্ব না হয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। পেছেনে শত্রু লেগেই আছে। সংসদে থাকেন বা না থাকেন, দেশ মাটির কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র আছে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে, সেটা যেন করতে না পারে সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের কোনো মাস্টার নেই, জনগণই আমাদের মাস্টার ও শক্তি। ২০৪১ এর মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ঘোষণা দিয়ে সেখ হাসিনা বলেন, দেশ আর কোনোদিন পেছনে যাবে না। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়ার আনন্দ পালন করবো। সবাই সেখানে উপস্থিত থাকবেন।