মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় নৌকা ও ট্রাক সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো- আকাশ মিয়া (২৫), টুকু বিশ্বাস (৪০) অপু বিশ্বাস (৩৩), অন্তর মল্লিক (১৬), আব্দুল হালিম (৩২) আশরাফুল ইসলাম (৪৫), ফেরদৌস আলী মেনতা (৫৫) আয়ত আলী (৪৫) ফজলুল হক (৫৯), নাহিদুল ইসলাম (৩৫) পিয়াস মিয়া (২৫) ও আলী ইয়াসিন (৫০)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আনন্দবাস গ্রামে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) সমর্থক মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তারা ইট পাটকেল ছোড়ে। এ সময় জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান (ট্রাক) সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের পর বিভিন্ন গ্রামে কর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। সদর উপজেলার কালাই ডাঙ্গা গ্রামে মোছাম্মদ বুলবুলি খাতুন ও ভেজালীকে মেরে আহত করা হয়েছে। বুলবুলি রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। কালিগাংনী গ্রামের অনেকে প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছে। সোনাপুর ছফর আলীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।উজলপুর মনছুউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। আশরাফপুরে হায়দার ও নিজামসহ ২০ জনকে আহত করা হয়েছে। রাধাকান্তপুরে ইসমাইল মেম্বারের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। মেহেরপুর পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। অবিলম্বে এর অবসান না হলে নিজেদের বাঁচার তাগিদে ঘুরে দাঁড়ালে আরও মারাত্মক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকার সমর্থিত আয়ুব হোসেন বলেন, ‘ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব।’