ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক জয়ের ১৯ পূর্তি হচ্ছে আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ২২৬ রানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল-সবুজেরা।
২০০০ সালের ২৬ জুন ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে দশম দেশ হিসেবে ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে নাম লিখিয়েছিল টাইগাররা। ইংল্যান্ডের লর্ডসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বোর্ড সভায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের পূর্ণ মর্যাদার এই খেতাব দেন তৎকালীন সভাপতি ম্যালকম গ্রে। তবে মর্যাদার এই খেতাবের পথযাত্রী হতে শুধু মাঠের পারফরম্যান্সই না, বাংলাদেশকে অনেক কূটনৈতিক যুদ্ধও করতে হয়েছে।
টেস্ট অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ১৪০ টেস্ট খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছে টাইগাররা। এর আগে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর পি সারা ওভালে অভিষেকের ১৭ বছরে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছিল সাকিব-তামিমরা।
নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে এক আগমনী বার্তাও পাঠায় টেস্টের নতুন সদস্যরা। টাইগারদের এই মহাকাব্যে ১৪৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন দলপতি বুলবুল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় ভারতের সঙ্গে ৯ উইকেটের অসহায় পরাজয় বরণ করে তারা।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৩৪ ম্যাচ পর প্রথম জয়ের স্বাদ নেয় টাইগাররা। কাঙ্ক্ষিত জয়টি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ঐতিহাসিক সেই জয়ের সাক্ষী চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এবং ১০ জানুয়ারি, ২০০৫। এই জয়ের পরপরই লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে ‘ল্যাপ অব অনার’ করে বাশার-মাশরাফীরা। এমন দৃশ্যের জন্যই পাঁচ বছর অপেক্ষা করেছিল টাইগার সমর্থকরা।
ওই টেস্টের দুই ইনিংসেই দলপতি হাবিবুল বাশার সুমন লাল-সবুজের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৯৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৫ রান করেন তিনি।
এরপর ৬ উইকেটে রোডেশিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন অভিষিক্ত এনামুল হক জুনিয়র।
ওই টেস্ট দলে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাই নিয়মিত জাতীয় দলে খেলছেন। তবে এরই মধ্যে অবসরে গেছেন ম্যাশ। দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৪৮টি রানও করেছিলেন সাবেক এই টাইগার দলপতি।
১৪০ টেস্টের মধ্যে মাত্র ১৯ টেস্টে জয়ের স্বাদ পেয়েছে সাকিব-তামিমরা। ১০৩ হারের বিপরীতে ড্রও ১৮ ম্যাচে। তবে মোট জয়ের আটটিই মিলেছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ক্রিকেটের এই সংস্করণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য হোম ভেন্যুতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে হারানো।