প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
‘এ কি ঠান্ডা, জারতে মুই থর থর করি কাঁপছং, আগুন তোপালেও গাঁও গরম হয় না’ কথাগুলো বলছিলো কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাঁধ রাস্তার খিতাবখাঁ গ্রামের বানু মামুদ(৯০)। বয়য়সের ভারে নুয়ে পড়া ওই ব্যক্তি সামন্য একটু পুরাতন জ্যাকেট পড়ে খরকুটো দিয়ে আগুনে শরীর গরম করার চেষ্টা করলেও তেমন গরম না হওয়ায় কথাগুলো বলছিল। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় রাজারহাট উপজেলার ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যায়। মানুষ ঘর থেকে বেড় হতে চায় না। শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরদিন দুপুর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে অনেক বেশী। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঠান্ডায় জিবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় রাজারহাট উপজেলাসহ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত সর্দী-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
এদিকে ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে রাস্তা-ঘাটে যানবাহন থাকে খুবই কম। ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর যানবাহন চালানো যায় না।
রাজারহাট সদর ইউনিয়নের মেকুরটারী গ্রামের ভ্যান চালক সাহেব আলী বলেন, দুইদিন থাকি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এমন কুয়াশায় ভ্যান নিয়ে বের হওয়া যায় না। দুইদিন ধরে সূর্য্যরে মুখ দেখা যায় না।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় রাজারহাট উপজেলাসহ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন এমন থাকবে। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।##