আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার ব্যবসায়ী বরুণ ঘোষ হত্যার ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্ধকারে রয়েছে। কি কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনো রয়েছে অজানা। তবে ঝিনাইদহ র্যাব সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এলাকাবাসি সুত্রে বলা হয়েছে, বরুণের পরিবার বহুমুখি চাপের মধ্যে ছিলেন। বহ বছর আগে তাকের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল। তাকে তার মাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সেই মামলায় প্রতিবেশি অনেকেই জড়িয়ে ছিলেন। অন্যদিকে জমিজাতি নিয়ে তাদের একাধিক মামলাও চলমান। এই দুই কারণ ছাড়াও হয়তো হিন্দু পরিবার হিসেবে এলাকার উঠতি বয়সী সন্ত্রাসীরা চাঁদার কারণেও তাকে টার্গেট করতে পারে। এমন অনেক প্রশ্ন প্রতিবেশি ও ঘোষপাড়াবাসির মনে উঁকিঝুকি দিলেও বিশ্বাসযোগ্য কোন কারণ খুজে পাচ্ছেন না তা। তবে পুলিশের একটি সুত্র জানাচ্ছে খুব দ্রæতই বরুণ হত্যার জট খুলতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উচ্চ মহল কাজ করছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দীন বুধবার সন্ধ্যায় জানান, বরুণ হত্যার বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই। তবে র্যাব চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাদের নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। উল্লেখ্য মঙ্গলবার সন্দ্যায় সাবে ছাত্রলীগ নেতা বরুণকে তার বাড়ির পাশে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও বরুণের বন্ধুদের পক্ষ থেকে জরুরী ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।