নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়ার পর এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষ নারীরা হাত-পা বেঁধে ঠান্ডা কাঁদা পানিতে নিক্ষেপ করে। এক ঘন্টা পর আত্মীয় -স্বজনেরা এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম সোনিয়া খাতুন (৩৫)। সে ওই গ্রামের ফারুক মোল্লা’র স্ত্রী। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করেছে। আটকৃতরা হলেন একই গ্রামের মৃত মবেদুল ইসলামের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৪০) ও হুমায়ুন ইসলামের স্ত্রী মেহেনাজ বেগম (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়ার পরে সোনিয়া খাতুনকে প্রতিবেশী মোমেনা, মেহেনাজ সহ ৪ জন সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষ নারী ধরে নিয়ে প্রথমে নারিকেল গাছের সাথে মাথা ঠুকড়ে আহত করে। পরে তার মুখে ওড়না গুঁজে ও হাত-পা বেঁধে পাশের পুকুরের ঠান্ডা কাঁদা পানিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনা ওই গৃহবধূর নাবালিকা মেয়ে দেখতে পেয়ে আতœীয়-স্বজনদের সংবাদ দেয়। পরে তারা এসে গুরুতর অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বড়াইগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বলেন, এটা একটি বর্বরোচিত ঘটনা। দোষীদের দ্রæত শাস্তির আওতায় আনার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল আযম খাঁন জানান, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু করা হয়েছে এবং দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।