বঙ্গভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়ার পর রোববার প্রথমবারের মতো অফিস করেন নবগঠিত সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তাদের কণ্ঠে উঠে এসেছে আগামী দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দৃঢ় প্রত্যয়। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা কাঠামো কিংবা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, সবকিছু নিয়েই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা জানিয়েছেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
সেসব লক্ষ্য অর্জনে আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো নয়া সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন সরকারের ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। পরদিন ১২ জানুয়ারি সরকারপ্রধানের সঙ্গে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তারা। পরে একই দিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রধান শ্লোগান ছিল ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ নির্মাণ। নতুন মন্ত্রিসভার শপথের পরদিন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেও বলেছেন, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক- এই তিন চ্যালেঞ্জই শেখ হাসিনার নতুন সরকারকে আগামীতে মোকাবিলা করতে হবে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সেই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন যে সহজ হবে না তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। পরে দ্বিতীয় ধাপে শপথ নেন ২৫ জন মন্ত্রী। এরপর ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন।