মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ, কালকিনি-ডাসার প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসারে শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ও তার স্ত্রী একই কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক চম্পা রানী মন্ডলকে কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য,দূর্নীতি ও অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাদের এমপিও বাতিল হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ ও তার স্ত্রী চম্পা রানী মন্ডলের এমপিও বাতিল হয়।তাদের এমপিও’র বিষয়টি ১৩ডিসেম্বর ২০২৩ জানানো হয়।
জানাগেছে অধ্যক্ষ হিসেবে দুর্লভানন্দ বাড়ৈ শশীকর কলেজ যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে প্রতিষ্ঠানকে অনিয়ম দূর্ণীতির আখরায় পরিনিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে স্ত্রী চম্পা রানীকে সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কলেজে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজে পরিচালনা করার অভিযোগ আছে অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বিরুদ্ধে । বিভিন্ন অনিয় ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে মাউশি বিভাগ এবং তদন্ত প্রমাণিত হওয়ায় তাদের উভয়ের এমপিও বাতিল করা হয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, সে নিজেকে সব সময় মহারাজা মনে করেন। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে ভাবে চলে, তার প্রতিষ্ঠান সেই নিয়মে চলে না। তার নিজের উক্তিমতের আইনে চলে। কাউকে তোয়াক্কাও করে না,কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের পরামর্শ কখনো নেননি। তার এককগুচ্ছ সিদ্ধান্তেই চলে প্রতিষ্ঠানটি।
শিক্ষক চম্পা রানী মন্ডল বলেন, অভিযোগ এসেছে আমার নিয়োগ অবৈধ। আমি নিজে নিজে নিয়োগ নেই নি। নিয়োগ যারা দিয়েছে তারা বলতে পারবে।যদি নিয়োগ অবৈধ হয় তাহলে কতৃপক্ষ আছে তারা ব্যবস্থা নিবে।অন্যান্য অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠে নাই। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে। তাকে জিজ্ঞেস করেন।
অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বলেন, এবিষয়ে আমার বলার কিছু নেই অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।