ইবি প্রতিনিধি:
সম্প্রতি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় উপাচার্যের কন্ঠ সদৃশ শিক্ষক নিয়োগের অডিয়ো ফাঁস হওয়া ও ইউজিসির তদন্ত শুরুর ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলছে তোলপাড়।
এই ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম দাবি করেছেন এসব অভিযোগের কোটি কোটি ভাগের এক ভাগের সাথেও তার সম্পৃক্ততা নেই।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার সামনে ব্রিফিং করে নিজের অবস্থান জানান ইনি উপাচার্য।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ অভিযোগের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ভুয়া আইডি খুলে এসব ভুয়া তথ্য প্রচার করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে বলে জানান শেখ আবদুস সালাম। এগুলো কারা করতেছে জানতে চাইলে বলেন, এগুলো হচ্ছে ছায়াশক্তি, সামনে এসে অভিযোগ তোলার বা বলার শক্তি তাদের নেই।
অডিও ফাঁসের ব্যাপার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষায় পাঁচ জন শিক্ষক মিলে সকালে বসেই প্রশ্ন তৈরি করেন। প্রশ্ন তৈরির সাথে সাথেই প্রশ্নটি পরীক্ষা হলে চলে যায়। এবং খাতাও দেখেন নির্দিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্টরা। সেসময় জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় নিয়োগ বোর্ডের এক্সপার্ট শিক্ষকরা আমাকে বলেন যে পরীক্ষায় মাত্র দুইজন ক্যান্ডিডেট উপস্থিত হয়েছেন। তখন আমি শুধু নিয়োগ পরীক্ষাটি ক্যান্সেল করে দেই। পরে এই নিয়োগের দায়িত্ব ট্রেজারারের কাছে দেওয়া হয়। পরে আবার নিয়োগ সার্কুলার দেওয়া হয়।
তখন আগের দুই পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন পরীক্ষার্থীর পিএইচডি ডিগ্রি ছিলো, এমফিল ছিলো সাথে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যানও। সে এপ্লাই করে নাই। তখন আমি তার সাথে যোগাযোগ করি। তখন বুঝতে পারি সে অভিমানেই এখানে এপ্লাই করে নাই। তখন সে প্রায় কাঁদা অবস্থায় বলে যে স্যার আমিতো ভাবছিলাম আমার চাকরি হয়ে যাবে কিন্তু আমারতো হয়নি। তখন আমি ওকে বলি তোমাকে কে বলেছে যে তোমার চাকরি হয়েছে বা হয়নাই। আমিতো পুরো পরীক্ষায় ক্যান্সেল করে দিয়েছি। তখন আমি ওকে বলি আমরা আবার রি-এক্সাম নিতে যাচ্ছি।
তুমি আমাদের একটু সাহায্য করো। যে তোমার বন্ধু বান্ধব বা অন্যকাউকে এখানে এপ্লাই করতে বলো। তখন সে আমাকে বলে যে স্যার এখানে এপ্লাই করতে গেলেও যে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকার প্রয়োজন। তখন আমি ওকে বলি তুমি কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ওদের সাহায্য করতে পারো তো। ঐ যে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করো এইটাই হচ্ছে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ বাণিজ্য করেছে।
অডিওগুলো কি ইডিট করে করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব তো আমি জানি না। আমি যে অন্যায় করিনাই এর প্রতি আমার কোনো চিন্তাও নাই। এতোক্ষণ ধরে যেগুলো বললাম সেটাই যদি অন্যায় হয় তাহলে আমাকে যদি ফাঁসিতে যেতে হয় আমি গ্লাডলি যাবো। কারণ আমি মনে করি এটি অন্যায় নয়।