ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, উত্তরবঙ্গের মিল মালিকরা শর্ট মেসেজ সার্ভিসের (এসএমএস) মাধ্যমে চালের বাজার অস্থির করে ফেলেন। তারা যেখানে চালের বাজার অস্থির করছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর ফরিয়াপট্টিতে চালের আড়তে অভিযানকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শফিকুজ্জামান।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, বরিশালের আড়তদাররা উত্তরবঙ্গের মিল থেকে যে দরে চাল কিনেছেন সেই দরের সঙ্গে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করবেন। ট্রাক ভাড়া সহ আনুষাঙ্গিক খরচ না বাড়লেও বরিশালের আড়তে প্রতি কেজি চালের দামে ৪ টাকা ব্যবধান পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, চালের মূল্য বাড়ার পেছনে যারা ধানের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছে তারা মিথ্যা বলছে। নতুন মূল্যের ধানের চাল বাজারে আসতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। সুতরাং ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে চালের দাম বেড়েছে এ কথাটা ঠিক নয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সকলের সমন্বয়ে ভোক্তা অধিকার সব সময় মাঠে থাকবে। রমজানে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ভোক্তা অধিকার নতুন কৌশলে কাজ করবে। এবার কোন উৎস্য থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঘটানো হচ্ছে তা অনুসন্ধান করবেন তারা।
আগামীতে খোলা ভোজ্য তেল উঠিয়ে দিয়ে বোতল এবং প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যারেলে তেলের উৎপাদন, মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ কিছুই থাকে না। ব্যারেলের তেলে ভিটামিন ‘এ’র অস্তিত্ব নেই। ভোক্তাকে গুনগত মান সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সয়াবিন খাওয়াতেই খোলা ভোজ্য তেল উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
অভিযানকালে চালের আড়তের পাশাপাশি তেলের আড়তের ক্রয় ও বিক্রয় রসিদ খতিয়ে দেখেন তিনি।
অভিযান শেষে নগরীর ফরিয়াপট্টিতে বরিশালের চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই ও বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।