রোমান আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
আশ্রয়হীনদের বসবাসের জন্য আবাসন প্রকল্প করেছে সরকার। যার মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবারের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হয়।
প্রতি পরিবারে জন্য গৃহসহ দুই শতাংশ জায়গা বায়না করে দেওয়া হয়েছে।
সুফল ভোগীদের তালিকা করায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে প্রকৃত অসহায় ও ভূমিহীনরা বঞ্চিত হয়েছেন। যাদের ঘর বাড়ি বা সম্পদ রয়েছে- এমন লোকদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু জনপ্রতিনিধি তালিকা করতে স্বজনপ্রীতি করেছেন। কিছু লোক জমির দলিল আর ঘরের চাবি বুঝে নিলেও বাস্তবে কখনোই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আসেননি। ফলে বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরে জন্ম থেকেই তালা ঝুলছে।
এমন চিত্রই দেখা গেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায়।
উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের হাটমাগুরা এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরেই কেউই থাকছেন না। অপর দিকে বরাদ্দ না পেয়ে অসহায় কয়েক পরিবার ঘর মালিকদের কাছ থেকে বসবাসের অনুমতি নিয়ে জীবনযাপন করছেন সেই ঘরগুলোতে। কেউ কেউ ঘর বরাদ্দ পেয়ে ভাড়াও দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূমিহীন পরিবারগুলোর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের বাড়ি সত্যিকারের ভূমিহীনদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে স্বাবলম্বী ও স্বচ্ছল পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এখানে প্রায় ঘর মালিকদেরই নিজের থাকার জায়গা আছে। কেও কেও বাইরে থেকে এসে অনুমতি নিয়ে ঘরে উঠেছে। আবার কোন কোন ঘর একবারে তালা দেয়া। এখানে কয়টা ঘর ভাড়াও দিয়েছে কয়েকজন।
ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারী এক নারী জানায়, এখানে যাদের নামে ঘর তারা ধনী মানুষ, তারা এখানে আসে না। আমাদের থাকার জায়গা নাই। তাই আমি ঘর মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এক বছর যাবত এখানে আছি।
আরেক বৃদ্ধ জানায়, আমরা এখানে যারা আছি সবাই অসহায় মানুষ। আর যারা ঘর পাইছে তারা ধনী মানুষ তারা এখানে আসে না। মাঝে মাঝে আইসে খোজ নেয় ঘর ঠিক আছে কিনা। আমরা প্রশাসনের কাছে কতবার গেলাম ঘর যেনো আমাদের নামে করে দেয় কিন্তু কোন কাজ হয় না। এখন আমরা আমাদের নামে ঘর চাই।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত মুঠোফোনে জানান, আমরা এটা তদন্ত করবো, এখানে এরকম কেও আছে কিনা। থেকে থাকলে আমরা তাদেরটা বন্দোবস্ত বাতিল করে প্রকৃত উপকারভোগী যেন পায় আমরা তার ব্যবস্থা করব।