হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে চায়না ও দেশীয় রসুন কেজিতে কমছে ২০ টাকা। আর সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
আজ সোমবার হিলি বাজারে পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে,সব ধরনের রসুনের দাম কমেছে। চায়না রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে,আর দেশী রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগে চায়না রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে,আর দেশীয় ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে করে কেজি প্রতি কমেছে ২০ টাকা। এদিকে দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এতে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা আহম্মদ আলী বলেন,গত সপ্তাহে ২৬০ টাকা কেজি দরে চায়না রসুন কিনেছি।আজকে দাম কম হওয়ায় চায়না রসুন পাঁচ কেজি নিলাম ২৪০ টাকা দরে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমেছে। পাঁচ কেজি রসুনে ১০০ টাকা কম পেয়েছি। এভাবে যদি প্রতিটি জিনিসের দাম কম তো তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা জুয়েল হোসেন বলেন,আমি দুই দিন আগে ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজকে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনলাম। অন্যান্য জিনিসের দামের মত যদি পেঁয়াজের দামটা ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্য হলে আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুব ভালো হতো।
হিলি বাজারের খুচরা রসুন ও পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন,আমরা পেঁয়াজ পাইকারী ৭৭ টাকা কেজি দরে কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করে থাকি। সরবরাহ কমে গেছে দেশীয় পেঁয়াজের। তাই আবার দাম বাড়ছে। তিনি আরও বলেন,ভারত থেকে আলু আমদানি না করে যদি পেঁয়াজ আমদানি হতো তাহলে পেঁয়াজের দামটা ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যেই থাকতো।
হিলি বাজারের পাইকারী রসুন ও পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের জানান,দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসতেছে।তাই মোকামেই দাম বেশি।দুই দিন আগে মোকামেই তিন হাজার টাকা মন পেঁয়াজ কিনেছি। আমি দুই আগে মোকামেই ৭৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি।এরপর পরিবহন খরচ আছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম আরও কমে আসবে। কয়েক দিনের তুলুনায় সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে চায়না রসুনের তাই দাম কমে আসতেছে। দেশীয় কাঁচা রসুন উঠায় সেই রসুনেরও দাম কমে আসছে। এক সপ্তাহ আগে চায়না রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে ও দেশীয় রসুন ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।