বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে হাসিনা বেগম (৫৫) নামে এক বাংলাদেশিসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত অপরজন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা বৃদ্ধা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত হাছিনা বেগম (৫২) ওই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এছাড়া নিহত রোহিঙ্গা পুরুষের (৫৫) পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাদশা মিয়ার ঘরে একটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হন। অন্যদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান বাদশা মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এরমধ্যে আহত ১৫ সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাখাইনে তুমুল লড়াইয়ের প্রভাবে থমথমে ঘুমধুম সীমান্ত। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধের প্রভাবে বান্দরবানের ঘুমধুমসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মিয়ানমার থেকে আসা গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশে। গুলিতে কয়েক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। উড়ে আসা গোলার আঘাতে পুড়ে গেছে অন্তত তিনটি বাড়ি। সীমান্তবর্তী ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।