গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় ৬ শিক্ষকের নামে মামলা হয়েছে।
এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে মুকসুদপুর উপজেলার পরিজান বেগম মহিলা মাদ্রাসার বড় হুজুর ইসমাইল হোসাইনকে। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করায় মাদ্রাসা শিক্ষক আওলাদ ওরফে আসাদুজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, মো. আল-আমিন, মিজানুর রহমান মিজু এবং আমেনা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে ।
মুকসুদপুর খানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গত বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা আমাদের কাছে মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানান। রাতেই মূল অভিযুক্তসহ ৪ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। মামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আসামি মিজানুর রহমান মিজু ও আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ১০ বছর বয়সী ওই ছাত্রী মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। তাকে সেখানেই যৌন নিপীড়ন করা হয়।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দ্বীপ সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে বুধবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, ইসমাইল হোসাইনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ কাজে সহযোগিতা করায় অন্য শিক্ষকদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।