সব প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে পাকিস্তানে ভোটের মাঠে বাজিমাত করল দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)। দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলে বন্দি থাকলেও তার দল দেশটির জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে। তবে এই জয় একটু ভিন্ন আবহের হওয়ায় নতুন ইতিহাস হতে যাচ্ছে।
ইমরান খান মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় নিজে নির্বাচনে লড়াই করতে পারেননি। এমনকি তার দল পিটিআই নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার কারণে নিজস্ব ‘ব্যাট’ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেনি। ফলে দলটির প্রার্থীরা দলীয় সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারপরও বেশি সংখ্যক আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। এরপর থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঘোষিত ২৫০ আসনের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
এরপরই পিএমএল–এন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোটগ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনও দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।