আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁও,কক্সবাজার :
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অর্ধশত বছরের মাছের শেড’র জায়গার উপর ব্যাক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে।সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জেনেও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।এ নিয়ে ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী ও জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে বহুবছর পর বাজারে নির্মিত হতে যাওয়া সরকারী বহুতল শেড ভবন নির্মাণ কাজ বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকা হচ্ছে ঈদগাঁও বাজার।যাতে রয়েছে ছোট বড় চার সহস্রাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ বাজারকে কেন্দ্র করে দৈনিক ঈদগাঁও উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার অর্ধলাখ মানুষের সমাগম ঘটে।এ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ মাছ-মাংসের বাজার। যা বছরের পর বছর ছিল জরাজীর্ণ অবস্থায়। সম্প্রতি সরকার মাছ-,মাংসের শেড’র জায়গার উপর বহুতল আধুনিক শেড ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাছ- মাংসের বাজার সাময়িকের জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করে পূর্বের ব্যবহার অযোগ্য শেড গুলো ভেঙ্গে চারদিকে টিনের ঘেরাও দিয়ে তাতে নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজ শুরুর প্রথম দিকেও একটি চক্র জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টা চালায়।পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয় এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ফাইলিং এর কাজ সম্পন্ন করে। আচমকা সরকারি বন্ধের দিন শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত থেকে ফের এ চক্রটি মাছ বাজারের পূর্ব অংশে কোটি টাকা মূল্যের অর্ধশত বছরের শেড’র জায়গার উপর ২০/৩০ জনের ভাড়াটিয়া বাহিনীর পাহারায় ব্যক্তিমালিকানাধীন পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে।বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের চোখে পড়লে তাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন।এদিকে স্থাপনা নির্মাণে জড়িত পক্ষ জায়গাটি তাদের বলে দাবি করে।
এবিষয়ে ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহনেওয়াজ মিন্টুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ছোটকালে ওনার যখন বুদ্ধি হয় এবং বাজারে আসা যাওয়া শিখেছেন,তখন থেকে দেখতেছেন ঐ জায়গাটির উপর মাছের বাজার। প্রায় অর্ধশত বছর পর জায়গাটি কিভাবে তাদের দাবি করে বুঝে আসেনা।ইতিপূর্বেও তারা সরকারি শেড নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে বাঁধা দিয়ে ছিল।পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা পিছু হটে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মোবাইল যোগাযোগ করা হলে জানান, সরকারি জায়গার উপর কোন স্থাপনা নির্মাণ করলে তা উচ্ছেদ করা হবে।
ঈদগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(ভারপ্রাপ্ত) আরিফ উল্লাহ নিজামির মোবাইলে বারবার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি
ঈদগাঁও ভূমি অফিস কর্মকর্তা শাহেদ এর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।