মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চর গয়েশপুর গ্রামের ইট ভাটার শ্রমিক মোঃ আকাশ(১৫) হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চরগয়েশপুর এলাকায় গ্রামবাসীর উদ্দ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় চরগয়েশপুর এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ আকাশ হত্যার বিচার দাবি করেন।
মোঃ আকুব্বর শেখের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত আকাশ শেখের পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন, মাতা জিন্না খাতুন, বড় ভাই জামিরুল শেখ, বোন রমেচা খাতুন, ভাবী মিনা এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি মেম্বর আলমগীর হোসেন, সুফিয়া, রামপ্রসাদ, মাহাবুবসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় বালুমহল ও নদীর ঘাটের রাজনীতি নিয়ন্ত্রনে রাখাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন শেখ (৫৯) মধুখালী থানায় উপস্থিত হয়ে গত ০৪ জানুয়ারি একই গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে জাকির শেখকে(৫৪) আসামি করে মধুখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাদের ধারনা জাকির শেখ ধুরন্দর প্রকৃতির লোক। তার কথাবার্তা ও আচরনে তিনি হত্যার সাথে জরিত বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। মামলার পর থেকে সে বাড়ি থেকে পলাতক। এ ঘটনায় জরিত আসামীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আকাশ গত ৩১ ডিসেম্বর রাত সারে ৮টায় চরগয়েশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকার অনান্য ছেলেদের সাথে পিকনিক করার কথা বলে বের হয়। পিকনিক করে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজি করে আকাশের সন্ধান না পেয়ে তিন দিন পর ৩ জানুয়ারী মধুখালী থানায় আকাশের বাবা একটি সাধারন ডায়রী দায়ের করে। যার নং-১১৯। ডায়রী করার একদিন পর ৪ জানুয়ারী সকালে আকাশের লাস নিজ বাড়ি থেকে ৭০০/৮০০ গজ দূরে মধুমতি নদীর চরের ঢালে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাসটির সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করেন।
এদিকে, মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী মোঃ বিল্লাল হোসেন শেখ ও তার ছেলে জামিরুল শেখসহ পরিবারের লোকজনকে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার সাব-ইন্সেপেক্টর (নিরস্ত্র) সান্টু কুমার দেব জানান, মামলার তদন্তকাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।