মোঃফিরোজ ফরাজী রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) :
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের একটি মাছবাহী ট্রলারে (ক্যারিংবোট) হামলা চালিয়ে মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে সেই ট্রলারেরই মাঝির বিরুদ্ধে। এই হামলায় ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদ হোসেন নিখোঁজ হয়েছেন।
ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতের ভিত্তিতে পুলিশের ধারণা মাছ লুট করতে মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদকে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে তার ই ট্রলারেরই মাঝি। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে রাঙ্গাবালী থেকে গলাচিপা যাওয়ার পথে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে লুট করা মাছ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে নিয়ে বিক্রি করতে গেলে ট্রলার মাঝি ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশ। তবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত নিখোঁজ মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদের কোন খোঁজ মেলেনি। রাশেদ রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাশেদের মালিকানাধীন মাছবাহী ট্রলার নিয়ে চরমোন্তাজ থেকে গলাচিপা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তিনজন। তাদের মধ্যে রাশেদ নিজে এবং মাঝি হিসেবে ছিলেন ইব্রাহিম ও জামাল মোল্লা। পথিমধ্যে কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর (ধানখালী) ইউনিয়নের পাটুয়া হয়ে গলাচিপা যাওয়ার পথে ক্যারিংবোটের মাঝি ইব্রাহিম হামলা চালায় মালিক রাশেদ ও জামালের ওপর। তাদের মধ্যে জামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে আত্মরক্ষায় সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে আহত জামাল সাঁতরে তীরে উঠলেও খোঁজ মেলেনি রাশেদের। আহত জামালকে কলাপাড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রাশেদের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ছেলের এখনও কোন খোঁজ পাইনি। আমি থানায় আছি।’
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলারেরই মাঝি ইব্রাহিম আরেক মাঝিকে ব্যালচা দিয়ে আঘাত করেছে। সেই মাঝি নদীতে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করেছে। আর ট্রলারের ভেতরে থাকা মালিক রাশেদ সম্ভবত ঘুমে ছিল তাই তাকে সম্ভবত কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিছে। পরে ট্রলার নিয়ে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে মাছ বিক্রি করতে এসে ইব্রাহিম আটক হয়। ট্রলারে আমরা রক্তমাখা কাপড় পেয়েছি। কিন্তু ট্রলার মালিককে এখনও পাইনি। ঘটনাস্থলে নৌপুলিশ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন রাঙ্গাবালী থানার উদ্দেশ্যে গেছে। তারা ওখানে মামলা দিবে।’ রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এবিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি।’