জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের মেলান্দহে মানিক মিয়া (৪০) নামে এক যুবকের পাচঁ বছরে চারটি বিয়ে করে আবার চার জন স্ত্রীকেই তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
মানি মিয়া নাংলা ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত মুকবুলের ছেলে।
বাসুদেবপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন জানায় - মানিক মিয়া নামের ছেলেটি কৌশর জীবন থেকে লম্পট স্বভাবের। সে পাচঁ বছরে চারটি বিয়ে করছে কিন্তু একটি স্ত্রীও পাশে নেই। মানিক মিয়া চতুর্থ স্ত্রী মীমকে শারীরিক ও চরম মানষিক নির্যাতনে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার আনুমানিক সকাল ১১ টায় চতুর্থ স্ত্রী মীম সু-বিচার চেয়ে ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা বিজ্ঞ মামলা আমলে নেওয়ার আদালতে মেলান্দহ জামালপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন সি আর মো: নং ৮০ (১) ২০২৪।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়- তার বিবাহিত জীবনে কোন স্ত্রী তিন মাসের অধিক সংসারের জীবন কাটাতে পারেনি। বিয়ে তিন মাস পেরিয়ে গেলেই স্ত্রীর প্রতি চালাতো পাশবিক নির্যাতন ও চাইতো যৌতুক। যৌতুক পাশবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অতিষ্ঠ হয়ে চার স্ত্রীই বাবার বাড়িতে চলে যায়।
কাবিন নামা সূত্রে ও স্থানীয়রা জানায়- মানিক মিয়া বিভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে কাবিনে রেজি: করে বিয়ে করে আসছে। প্রথম বিয়ে ইসলামপুর উপজেলা কাশারীডোবা হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ে নাংলা ইউনিয়নে চারাইলদার গ্রামে দুলালের মেয়ে মীম আক্তার কে বিয়ে করে। তৃতীয় বিয়ে ঘোষের পাড়া ইউনিয়নে বংশী বৈলতল গ্রামে ফজলের মেয়ে স্বপ্না জান্নাত কে বিয়ে করে। চতুর্থ বিয়ে ৫নং নয়ানগর ইউনিয়নে মেঘারবাড়ি গ্রামে সাইফুলের মেয়ে মীম কে বিয়ে করে।
এ বিষয়ে মানিক মিয়া কে একাধিক মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যাইনি।