আসন্ন রমজান উপলক্ষে শুল্ক কমানোর পর বাজারে কমেছে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম। লিটার প্রতি ১৭৩ থেকে কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি, খুচরা পর্যায়ে খোলা তেলের সর্বোচ্চ মূল্য থাকবে ১৪৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৫৯ টাকা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু
পহেলা মার্চ থেকে তেলের এই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
টিটু বলেন, রমজানে যে পরিমান অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাজারে থাকা প্রয়োজন তার পুরোটাই আছে বলে ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়েছেন। নিত্যপণ্য আমদানিতে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী বাজেটে পণ্যের ট্যারিফ স্বাভাবিক রাখতে এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রমজানের আগে এক লাখ টন চিনি আর ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দিতে রাজি হয়েছে ভারত সরকার। তাছাড়া, মিয়ানমার থেকে নৌপথে পণ্য আমদানি করতে জাহাজ ব্যবস্থা সহজ করা হবে।
পহেলা মার্চ থেকে ভোক্তাদের জন্য ৩৩৩ হটলাইন চালু হবে উল্লেখ করে টিটু বলেন, বাজারে গিয়ে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বিক্রি হলে এই নাম্বারে ফোন দিয়ে জানাতে পারবেন ভোক্তারা।
টিসিবির পণ্য সরবরাহ সম্পর্কে টিটু বলেন, রমজানে চাল, তেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর দুইবার দেওয়া হবে। আগে দেওয়া হতো একবার। এতে বাজারে চাপ কমবে।
রমজানে আগে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নাই উল্লেখ করে টিটু বলেন, সরকার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সর্বোচ্চ নজরদারি রাখছে বাজারের উপর।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইনী ব্যবস্হা গ্রহণ করবে উল্লেখ করে টিটু বলেন, আইন দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করে। পণ্যের সরবরাহে যাতে ঘাটতি না হয় এবং রোজার আগে যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি এবার শতভাগ নিশ্চিত করছে সরকার।