রোজার বাকি প্রায় তিন সপ্তাহ। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে চিনি ও ছোলার দাম। পাইকারি বাজারে চিনির প্রতি ৫০ কেজি বস্তায় দাম বাড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তা প্রতি চিনির দাম বেড়ে গেছে ৩০০ টাকা। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা সাধারণত ২০ থেকে ২২ বস্তা চিনি কিনে তারপর তা বিক্রি করি। কালকের তুলনায় আজ প্রতি বস্তা ৩০০ টাকা বেশি গুনতে হয়েছে।
আক্ষেপ প্রকাশ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, এভাবে হয় না। এক কেজি চিনি আমরা পাইকারিতেই ১৪০ টাকায় কিনি। ৫০ কেজির প্রতি বস্তার দাম ৭ হাজার টাকা।
পাইকারিতে দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরায়ও। খোলা চিনির কেজি আবার ঠেকেছে ১৪৫ টাকায়। এ প্রসঙ্গে এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি কেজি চিনি গতকাল ১৪০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ বিক্রি করতে হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।
যৌক্তিক কারণ না থাকায় দাম বৃদ্ধির দায় একে অপরের ঘাড়ে চাপাল বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, মিল থেকেই বাজারে চিনি ধীরগতিতে আসছে। প্রতিদিন ২ হাজার টাকা ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে, যা চিনির দামের সঙ্গে যোগ হচ্ছে। এতে দাম বাড়ছে।
বাড়তি দরের তালিকায় আছে রমজানের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ ছোলা। এই পণ্যটির দাম ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘গত কয়েক দিন ছোলা প্রতিকেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন এর দাম ঠেকেছে ১১৫ টাকা।’
এদিকে রমজানের আগে বাজার চড়ে যাওয়ায় সঠিকভাবে নজরদারি করার দাবি অসহায় ক্রেতাদের। এক ক্রেতা বলেন,
নীতিনির্ধারকরা যদি বাজার সুসম্পন্ন ও সুন্দরভাবে মনিটরিং না করেন, তাহলে আমাদের বলার কিছু থাকে না। আমাদের কপালে লবণ ও লেবুই রয়েছে। চিনি আমাদের কপালে নেই। লবণ দিয়েই শরবত খেতে হবে।
অন্যদিকে মিল পর্যায়ে নজরদারি না বাড়ালে চিনির বাজার আরও চড়ে যাওয়ার শঙ্কার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।