কাইল মায়ার্স তাণ্ডবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে ভিক্টোরিয়ানসকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা না পাওয়ার বেদনা ছিল বরিশালের। অবশেষে সেই ক্ষতে তারা প্রলেপ দিতে সক্ষম হলো।যার ফলে বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। তামিম-রিয়াদ-মুশফিকের হাতে উঠেছে ট্রফি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় বরিশাল। হাতে ছিল আরো ৬ বল।
বরিশালের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ৩ ওভারে দুজন যোগ করেন ৪১ রান। তবে এরপর ধীরে ধীরে কমে আসে রান তোলার গতি।
পাওয়ার প্লে শেষে অল্প সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার। তামিম ৩৯ ও মিরাজ ২৯ রান করেন। তাদের বিদায়ের পর দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন কাইল মেয়ার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তিনি। মুশফিক আউট হন ১৩ রানে।
শেষদিকে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ডেভিড মিলার। এ সময় রিয়াদ ৭ ও মিলার ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজুর ও মঈন আলী দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে আজ টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণেই যেন মাঠে নামে দলের খেলোয়াড়রা। পুরো ইনিংসজুড়ে দারুণ লাইন-লেন্থে বোলিং করেছেন সবাই।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে কুমিল্লার উইকেট তুলে নিয়েছে বরিশাল। যার শুরুটা হয় প্রথম ওভারে সুনীল নারিন ফেরার মাধ্যমে। প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ের নায়ক লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় দুজনই হয়েছেন ব্যর্থ।
লিটন ১৬ এবং হৃদয় ও জনসন চার্লস সমান ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। একপ্রন্ত আগলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এর আগে ব্যক্তিগত ৩ রানে রান আউট হন মঈন আলী। দলের ইনিংসের বাকিটা এগিয়ে নেন জাকের আলী ও আন্দ্রে রাসেল।
শেষদিকে মিরপুরে ঝড় তোলেন রাসেল। তার ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। অন্যপ্রান্তে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। বরিশালের হয়ে ফুলার দুটি এবং মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয় একটি করে উইকেট নেন।