রাজধানীর পল্লবীর আলোচিত ফয়সাল হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি গালকাটা রাব্বিসহ ৫ জনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা একাধিক মাদক মামলার আসামি। মূলত কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও মাদকের টাকা ভাগাভাগিসহ আধিপত্য বজায় রাখতেই ফয়সালকে হত্যা করা হয়।
Google Newsএকুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
শনিবার (২৩ মার্চ) কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
ভিডিও ফুটেজে গত শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্লবীতে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরেক কিশোর গ্যাং ‘পেপার সানি’ গ্রুপের সদস্য ফয়সাল ও রাশেদকে কুপিয়ে আসার পর জনসম্মুখে ‘গালকাটা রাব্বি’ গ্রুপের সদস্যদের দেখা যায় হাস্যোজ্জ্বল চেহারায়।
শুধু তাই নয়, হত্যাকাণ্ডের পর আতশবাজি ও কেক কেটে রাতের আঁধারে উল্লাসে মেতে ওঠে কিশোর গ্যাং গালকাটা রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা। এরই মাঝে হাসপাতালে ফয়সালের মারা যাওয়ার খবর আসে। নিজেদের বাঁচাতে গা ঢাকা দেন আসামি গালকাটা রাব্বি, টান আকশসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে নরসিংদী ও গাজীপুরে আলাদা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৪।
তিনি বলেন, পেপার সানি গ্রুপের হয়ে এক সময় কাজ করতেন আসামিরা। মাদকের টাকার ভাগাভাগি, আধিপত্য বিস্তার ও অন্তঃকোন্দলের কারণে গ্রুপ থেকে বের হয়ে নতুন গ্যাং গঠন করেন গাল কাটা রাব্বি। এরপরই শুরু হয় দুই গ্রুপের চরম দ্বন্দ্ব।
‘এ ছাড়া রাব্বি গ্রুপের এক সদস্যের বোনকে যৌন হয়রানি করা ও পূর্ব শত্রুতার জেরে পেপার সানি গ্রুপের সদস্য ফয়সাল ও রাশেদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাব্বি গ্রুপ’, যোগ করেন খন্দকার আল মঈন।
পেপার সানি গ্রুপসহ অন্যান্য কিশোর গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র্যাবের এ কর্মকর্তা।