ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে বায়নাকৃত দীর্ঘ ১৯ বছরের ভোগদখলীয় জমি জোর পূর্বক উচ্ছেদের পায়তারা করার অভিযোগ উঠছে। জবর দখল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগি ব্যবসায়ী মো. হেলাল উদ্দিন ।
হেলাল উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের এওয়াজপুর সাকিনের মৃত এছহাকের ছেলে হাজী আব্দুল বাসেদ গংদের কাছ থেকে ৫.৮৫ একর জমি বায়নাচুক্তি করেন। দুই কিস্তিতে মোট ১০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকায় বায়না চুক্তির পর ২০০৫ সনের ৩০ জুন পশ্চিম এওয়াজপুর মৌজার এস এ ৭৭/১ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের ওই জমির দলিল করতে গিয়ে দেখা যায় ভূলবসত ওই জমি সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত রয়েছে। পরে দলিল সম্পাদক করা আর যায়নি।
বিক্রেতা বাসেদ গংরা কাগজপত্র সংশোধন করে পরবর্তীতে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সরজমিনে আমাকে ৫.৮৫ একর জমি দখল বুজিয়ে দেন। আমি ওই জমিতে নেহাল ডেইরী এ- কেটেল ফার্ম নামে একটি গরু, হাঁস, মুরগী, মাছ ও তরী তরকারীর খামার গড়ে তুলি। বর্তমানে বাসেদ গংরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে আমাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে এবং ওই জমি অন্যত্র বিক্রির পায়তারা করছে। ফলে আমি ন্যায় বিচারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
তিনি বিগত ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ সালে মালিক (বিক্রেতা) হাজী আব্দুল বাসেদ গংদের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। দেওয়ানী মামলা নাম্বার ৬৬/২৩। আদালত বিবাদী আব্দুল বাসেদ গংদের ও শশীভূষণ সার্ব-রেজিষ্ট্রারকে কারণ দর্শাইবার নোটিশ জারী করে। আদালতের ওই আদেশের পর বাসেদ গংরা ক্রেতা ব্যবসায়ী মো. হেলাল উদ্দিনের ওই জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। অব্যাহত হুমকিতে প্রবাসী মো. হেলাল উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন নিরাপত্তাহীনতা বিষয়টি গত শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্তের মাধ্যমে অবহিত করেন বলে জানান।