প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রমজান মাসে দুই দফা (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবির পণ্য দেয়ার কথা থাকলেও একবারও পায়নি সুফলভোগীরা। টিসিবির ডিলাররাও জানেন না কবে সরবরাহ করবে টিসিবির পণ্য। বুধবার(২৭মার্চ) দুপুর পর্যন্ত টিসিবির মাল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২৪ হাজার উপকারভোগী টিসিবির পণ্য ক্রয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজারহাট সদর ইউনিয়নে ৪হাজার ৭৬জন, চাকিরপশার ইউনিয়নে ৪হাজার ৩১১জন, উমরমজিদ ইউনিয়নে ৩হাজার ৫৪৫জন, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩হাজার ৩৮৯জন, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ২হাজার ৪৯৬জন, নাজিমখান ইউনিয়নে ২হাজার ৮০৪জন ও ছিনাই ইউনিয়নে ৩হাজার ৩৬৯জন উপকারভোগী টিসিবির কার্ডধারী রয়েছে। রমজানের শুরু ও মাঝ সময়ে দুই বার করে ৩০টাকা কেজি দরে ৫কেজি চাল, ১০০টাকা লিটার দরে দুই কেজি সয়াবিন তেল, ৬০টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৫৫টাকা কেজি দরে এক কেজি ছোলা বুট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কবে পাবে ভোক্তারা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে । টিসিবির ডিলাররাও বলতে পারছে না কবে পণ্য হাতে পাবে এবং ভোক্তাদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করবে। অথচ পাশের উপজেলা কুড়িগ্রাম সদরে সঠিক সময়ে ডিলাররা টিসিবর পণ্য বিক্রি করে আসছেন।
উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠক গ্রামের টিসিবির কার্ডধারী সোলায়মান আলী বলেন, সব জায়গায় টিসিবির মাল বিতরণ শেষ হলেও রাজারহাটে এখনও শুরু করতেই পারেনি ডিলাররা। বাজারে প্রতিটি জিনিসের কয়েকগুন দাম বেড়েছে। টিসিবির মাল পেলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। চাকিরপশার তালুক গ্রামের চন্দ্রকান্ত ধনি বলেন, হাতে তেমন টাকা কড়ি নেই, বাজারে চালের দামসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেশী। টিসিবি ৫ কেজি করে চাল দেয়, পেলে উপকার হতো। চাকিরপশার ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার সেলিম আহমেদ বলেন, উপরে প্রতিদিন যোগাযোগ করছি, কবে পাব জানা যায়নি। হাতে পেলেই সরবরাহ করবো।
বুধবার(২৭মার্চ) রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সবেমাত্র এসেছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
টিসিবির রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, রমজান মাসে দুই বার টিসিবির পণ্য দেয়ার কথা। কিন্তু সয়াবিন তেলের সংকটের কারণে যথাসময়ে দিতে পারছি না। তবে এ সপ্তাহে দেয়ার কথা রয়েছে।