হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
চলতি রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দামে উদ্ধগতীতে ক্রেতা সাধারণের ভোগান্তি যখন চরমে, ক্রেতার দূদর্শার কথা মাথায় রেখে ২৯ টি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু এর একটিও সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা উত্তরের জনপদের দিনাজপুরের হিলিতে। মানা হচ্ছেনা সরকারের নির্দেশনা। অনেক বিক্রেতা জানেনা সরকারের বেঁধে দেয়া নিত্যপণ্যের দামের কথা। সংশ্লিষ্টের গাফিলতির কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নিত্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা যায়,মাছ,মুরগী,গরুর মাংস,ডাল,ছোলা, পেঁয়াজ, আলুসহ সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গরুর মাংস সরকারের বেঁধে দেয়া দাম ৬৬৫ টাকা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের খেয়াল খুশি মত ৭শ’ থেকে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগী ১৯০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা এবং দেশী মুরগী ৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাতল মাছ ২২০ টাকা এবং পাঙ্গাস মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু ৪৫ টাকা,পেঁয়াজ ৫৫ টাকা,রসুন ১২০ টাকা, আদা ২০০ টাকা। এ ছাড়াও মসুর ডাল (চিকন) ১৪০ টাকা, ছোলা ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের মাংস কিনতে আসা গোলাম রব্বানী জানান,সরকার গরুর মাংসের দাম ৬৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আগের দামে বিক্রি করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার নির্ধারিত দাম তো দুরের কথা আগের থেকে আরো ২০ টাকা দাম বেড়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে ঘরে বসে থাকলে তো আর দাম কমবেনা। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে কোন কিছুর দাম কমছেনা।
এদিকে গরুর মাংস ব্যাবসায়ী বকুল হোসেন জানান,সরকার দাম কমিয়েছে কিন্তু গরুর দাম তো আর কমেনি। তাই সরকারের দামে বিক্রি করলে লোকশান গুনতে হবে।
দিনাজপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মমতাজ সুলতানা জানান,বেশ কিছু জটিলতার কারণে সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে কাজ করা যাচ্ছেনা। এটা সময়ের ব্যপার।এছাড়া এলাকা ভেদে ওই ২৯ টি পণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন খরচ এক নয়। ফলে দামের তারতম্য হতে পারে।