বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারী মহিলা কলেজ সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডা. আয়নুল হকের ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শুক্রবার, ২৯ মার্চ)।
২০০২ সালের এই দিনে (২৯ মার্চ) রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খুন হন তিনি। উপজেলার বনপাড়া বাজারে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা তাকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করার দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুই জনকে মৃত্যদন্ড ও বাকীদের বেকসুর খালাস প্রদানের রায় দেয় নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় হলেন উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার মহিষভাঙ্গা এলাকার বাহারউদ্দিন মোল্লার ছেলে তোরাব আলী মোল্লা ও পলান মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা।
ডা. আয়নুল হকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বনপাড়া পৌরসভার তিন বারের নির্বাচিত মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক কেএম জাকির হোসেন জানান, এ রায়ে অসন্তোষ ও বিস্ময় প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপীল করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালত সে আপীল মঞ্জুর করেছেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বিএনপি’র লোকজন আমার চিকিৎসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে প্রকাশ্যে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং যেভাবে আগুন দিয়ে আমাদের ও আমার আতœীয়-স্বজনদের বাড়ি-ঘরসহ আ’লীগের শতাধিক নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে; তাতে এই রায় যথেষ্ঠ নয়। শহীদ ডা. আয়নুল হক পরিবারের সকল সদস্য এই নৃশংস হত্যাকান্ড ও আগুন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আ’লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন, ডা. আয়নুল হক ফাউন্ডেশন ও পরিবারের পক্ষ থেকে বনপাড়া পৌর শহরের মহিষভাঙ্গাস্থ শহীদের কবরে ও বাজারস্থ ডা. আয়নুল হক চত্বরে শহীদের ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কালো ব্যাচ ধারণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।