নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের নলডাঙ্গায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মো. হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনের ভেতর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে।
নিহত হিমেল উপজেলার পিপরুল (সেন্টার) গ্রামের মো. ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। আটক সন্দেহভাজনরা হলো-একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।
নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, বিকেলে পার্থ ফোন করে হিমেলকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার স্বজনরা। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে তারা থানা পুলিশকে জানান।
এ অবস্থায় নিখোঁজ হিমেলকে উদ্ধারে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হিমেলের অপর বন্ধু মেহেদীসহ শিমুল ও সুজন নামে আরও তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিহত হিমেলের মাথায় আঘাত, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটি এম মাইনুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।