আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁও,কক্সবাজার, প্রতিনিধি :
স্ত্রীকে উক্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিতে হল হতভাগ্য দিনমজুর স্বামীকে।
ঘৃণ্য এ ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের কালিরছড়া শিয়াপাড়া এলাকায়।
নিহত স্বামীর নাম মো: আবদুর রহমান প্রকাশ লেড়ু(৩১)। সে উক্ত এলাকার মো: হোসেনের ছেলে।
ঘটনা পরবর্তী জড়িত একই এলাকার ছৈয়দ হোছনের ছেলে খুনি রিয়াজ উদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সুরতহাল তৈরি পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান মিনার। সংঘটিত ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমার সাথে যোগাযোগ হলে জনান,তিনি লোকমুখে এরকম একটি ঘটনা শুনেছেন,তবে কেউ অভিযোগ না করায় ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাইনি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে খুনি রিয়াজ উদ্দিন একই এলাকার দিনমজুর মো: আবদুর রহমান প্রকাশ লেড়ুর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে উক্ত্যাক্ত করে আসছিল। যা এলাকার সবাই জানে। এনিয়ে ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান মিনার স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠক করে রিয়াজ উদ্দিনকে এসব অপকর্ম বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত না করে সে বারবার বিভিন্ন ভাবে লেড়ুর স্ত্রীকে উক্ত্যাক্ত করতে থাকে। এনিয়ে লেড়ু ক্ষুদ্ধ হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল ইফতারের পর স্থানীয় একটি দোকান সংলগ্ন স্থানে রিয়াজকে পেলে দিনমজুর লেড়ু তার স্ত্রী জমিলা বেগমকে বারবার উক্ত্যাক্ত করার প্রতিবাদ করেন এবং তাকে শাসান।এতে লম্পট রিয়াজ তার কোমরে পূর্ব থেকে লুকিয়ে রাখা ছুরা দিয়ে লেড়ুকে উপুর্যুপরি ছুরিকাহত করে পালিয়ে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় লেড়ুকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেকে প্রেরণ করেন।সেখানে জরুরি চিকিৎসা শেষে ঘরে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর রবিবার (১ এপ্রিল) হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে একই দিন রাত ১২ টার দিকে চিকিৎসাধীব অবস্থায় হতভাগা দিনমজুর লেড়ু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।এ সংবাদ এলাকায় পৌঁছলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং অবিলম্বে খুনিকে গ্রেফতারের দাবি জানান।নিহত দিনমজুর চার সন্তানের জনক এবং সে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।