ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ নানানভাবে ঢাকা ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম দিকে কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হলেও পরেরগুলো যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে।
এবার ঈদের আগে ও পরে ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই বাস-ট্রেনসহ সবখানেই যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এজন্য অনেকে আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। শনিবারও অনেকে বাড়ি ফিরছেন।
খুলনাগামী বাসযাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তাকে রেখেই আগেভাগে ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। কারণ পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। ঈদের ছুটি শুরু হলে তখন আমার স্বামী বাড়ি যাবে।
আরও পড়ুন
ঈদের আগেই দুই সেতু ও ৮ ওভারপাস উন্মুক্ত
ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।
এদিকে সদরঘাট টার্মিনালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। পরিবার নিয়ে তিনি পুরান ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি।
প্রতিবছর ঈদ এলেই ঢাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রকৃত সংখ্যা বলা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবার প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বিপুলসংখ্যক ঈদ যাত্রীর মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৯০ লাখ মানুষ সড়ক পথে যাবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।