আইসিসির মেগা ইভেন্টে কখনোই ফাইনালে খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এজন্য তাদের ‘চোকার্স’ বলা হতো। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচে ইতিহাস গড়ে আইসিসির ইভেন্টে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।
নবম টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটিতে আফগানদের অল্পতেই আটকে দেয় প্রোটিয়ারা।আগে ব্যাট করে ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রাখলো এইডেন মার্করামের দল।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৬৭ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। ৮ বলে মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কুইনটন ডি কক। এরপর রেজা হেনড্রিক্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম।দুজনের ব্যাটে ভর করে ফাইনালের পথে ছুটতে থাকে প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত মারক্রামের ২১ বলের ২৩ রান এবং হেনড্রিক্সের ২৫ বলের অপরাজিত ২৯ রানে ভর করে ৬৭ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান। দলীয় ২৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা গুরবাজ (০) ফেরেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। ৮ বলে ৯ রান করে গুলবাদিন নাইব আউট হলে, ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
এদিন ব্যাট হাতে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি মোহাম্মদ নবীও। ৩ বলে শূন্য করে আউট হলে, ২ রান করে ফেরেন খারোতে। তবে অপর প্রান্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি।
১২ বলে সর্বোচ্চ ১০ রান করেন তিনি। এরপর কারিম জান্নাত (৮), নূর আহমেদ (০), রশিদ খান (৮) এবং নাভিন উল হক ২ রানে আউট হলে ৪৯ বল হাতে থাকতেই মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
উইকেটে এসে আশার আলো দেখান গুলবাদিন নাইব। তবে তিনিও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান জানসেন। ব্যাট হাতে ইব্রাহিম (২) ও মোহাম্মদ নবি (০) রান করেন। তাদের দুজনেরই স্ট্যাম্প উপরে ফেলেন কাগিসো রাবাদা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন তাবরাইজ শামসি ও মার্কো জানসেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদা।