সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে ট্রেনে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ। তারা তিনজন এস.এ করপোরেশনের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে আছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে বলে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় ট্রাফিক কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সূত্রমতে মঙ্গলবার রাত ৮টায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের গাড়িতে এক তরুণীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন ক্যাটারিং সার্ভিসের তিন কর্মচারী। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছলে ভিকটিম বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে তিনজনকে ট্রেন থেকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে ভিকটিমকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিম চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে বিকাল সাড়ে ৫টায় পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। পরে রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এদিকে ট্রেনের খাবারের গাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থানায় গিয়েও আটকদের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়টি ওসি ভালো বলতে পারবেন। উনার (ওসি) কাছ থেকে জানতে পারবেন।’
তবে থানায় গিয়ে এবং একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়ার পরও ঘটনার বিষয়ে কথা বলেননি চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এসএম শহিদুল ইসলাম।
রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া যারা যারা তথ্য গোপন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন।