ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বখাটে যুবক মারুফ মাতুব্বার।এমন ঘটনাটি ঘটে সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের আকোট চর গুচ্ছ গ্রামে।
ঐ বখাটে যুবক পাশের গ্রামের মিঠু প্রামাণিকের ডাঙ্গীর খলিল মাতুব্বরের ছেলে।
এ ঘটনায় গত (৬ জুলাই)শনিবার দুপুরে শিশুর মা বাদী হয়ে ঐ বখাটেকে আসামি করে সদরপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছেন।
এ ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়ে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি শেখ তারামিয়া বলেন এই নাবালিকা মেয়ে নুসরাতের সাথে যে ধর্ষণের অপচেষ্টাটি ঘটেছে। এই রকম ঘটনাটি যেন এই গুচ্ছগ্রামে আর কারো সাথে না ঘটে সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধষক মারুফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমি সহ এই গুচ্ছ গ্রামবাসীদের দাবি।
এ ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়ে ওই গুচ্ছ গ্রামের আরেক বাসিন্দা তারা মোল্লা বলেন যে ঘটনাটি ঘটেছে মেয়েটি অনেক মারধর করেছে মুখে অনেক রক্ত ছিল সেটা আমি দেখেছি, এই মারুফ ছেলেটা অনেক খারাপ সে চুরি ডাকাতি করে সেটা সত্য কথা আমাদের গুচ্ছ গ্রামে আরো অনেক হয়েছে এটার একটা উপযুক্ত বিচার হোক সেটা আমিও চাই এই ধরনের ঘটনা যেন আরো কারো সাথে না হয়।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, আমার ছোট নাবালিকা কন্যা নুসরাত (৯)সদরপুর থানা দিন মিঠু প্রামাণিকের ডাংগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী,
আমার নাবালিকা কন্যা বিভিন্ন সময় আমার বাড়ির উঠানসহ বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে লিমন বেপারী সহ অন্যান্য ছোট্ট ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করিয়া আসিতেছিল।এমতাবস্থায় ইং০৫/০৭/২৪ তারিখ
সকাল অনুমান দশটার সময় বর্তমান ঠিকানার বাসায় আমার প্রতিবন্ধী ছেলে লিমন বেপারীকে খুঁজে না পাওয়ায় আমি এবং আমার নাবালিকা
কন্যা নুসরাত কে লিমন বেপারি কোথায় আছে তা দেখতে আসার জন্য বলিলে আমার নাবালিকা
কন্যা নুসরাত আমার কথা মতে আমার ছেলে লিমন ব্যাপারীকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ইং ০৫/০৭/২৪ সকাল অনুমান দশটা পাঁচ মিনিটের সময় আকটের চর গুচ্ছগ্রামেরসো নিকট স্থানে জনৈক রেজ্জেক খা এর ভুট্টা খেতের পাশে রাস্তার উপর আসিয়া পৌঁছাইলে বিবাদী আমার মেয়েকে
পিছন থেকে লাথি দিয়া মাটিতে ফালাইয়া দেয় এবং আমার মেয়ের মুখ চাপিয়া ধরিয়া ভুট্টা খেতে
নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার মেয়ে বিবাদীর এহেন কাজে বাধা প্রদান করিলে বিবাদী তাহাকে জোর জবরদস্তি করায় আমার মেয়ে ডাক চিৎকার করিলে আমার ননদের ছেলে
বায়জিদ খালাসী বিবাদীর এমন কর্মকাণ্ড দেখিতে
পাইয়া দ্রুত আমার নিকট আসিয়া ঘটনার বিষয়টি জানাইলে আমি তৎক্ষণিক বর্ণিত ঘটনাস্থলে গিয়ে
বিবাদী আমার মেয়ে নুসরাত এর পরিহিত জামা কাপড় খুলিয়া আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করিতেছে দেখতে পাই/পরবর্তীতে আমি ডাক চিৎকার করিলে বিবাদী দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে পালাইয়া যায়।
এ বিষয়ে নুসরাতের মা, বাবা বলেন কন্যা নুসরাত কে বলি তোমার ভাই লিমন বেপারি কোথায় আছে তা দেখতে আসার জন্য বলিলে আমার নাবালিকা কন্যা নুসরাত আমার কথা মতে আমার ছেলে লিমন ব্যাপারীকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে
পিছন থেকে লাথি দিয়া মাটিতে ফালাইয়া দেয় এবং আমার মেয়ের মুখ চাপিয়া ধরিয়া ভুট্টা খেতে
নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার মেয়ে বিবাদীর এহেন কাজে বাধা প্রদান করিলে বিবাদী তাহাকে জোর জবরদস্তি করায় আমার মেয়ে ডাক চিৎকার করিলে আমার ননদের ছেলে
বায়জিদ খালাসী বিবাদীর এমন কর্মকাণ্ড দেখিতে
পাইয়া দ্রুত আমার নিকট আসিয়া ঘটনার বিষয়টি
বলে,অভিযুক্ত বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায়। আরো বলেন আসামি পক্ষের পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হয় মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি এবং ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে,
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে মারুফ বিরুদ্ধে। আসামি গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।