বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট আজ (১৬ মার্চ ২০২৫) রায় ঘোষণা করেছেন। এতে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বহাল রাখা হয়েছে। ফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির দণ্ড বহাল থাকলো এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৫ আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির সাজা বহাল,যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৫ আসামির সাজা বহাল,অপরাধীদের দ্রুত দণ্ড কার্যকরের নির্দেশ ।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী মতামত প্রকাশ করায় তাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হয়।
মামলার অগ্রগতি,২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিদের রায় ঘোষণা করে— ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করে, পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
হাইকোর্ট বলেন, “এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।”"আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র তার পরিবারের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য বেদনাদায়ক। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ,আসামিরা চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবেন।মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো বলে মনে করছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা।