কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ কেজি চাউলের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হন, উপজেলার
বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র হাফিজুর রহমান, খয়বর রহমানের পুত্র মুসা, জয়মত আলীর পুত্র শাহারুল, আবু বক্করের পুত্র মোকছেদুল হক, চন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র বাবু, আবদুল জলিল ও জিয়াউর রহমান আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রবিবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলামের নেতৃত্ব কয়েকজন নেতাকর্মী বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মেম্বারদের নিকট হতে ১০কেজি চালের তালিকায় ভাগ চায়। চালের তালিকা দাবী করায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা জানান এবং নজির হোসনের ছেলে আরিফুর ইসলামের সমালোচনা হয়। এই সমালোচনার বিষয়টি বড়ভিটা বাজারে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়। পরে বিষয়টি নজির হোসনের ছেলে জানতে পারে এবং সন্ধ্যায় বড়ভিটা বাজারে এসে বিএনপির এক কর্মীকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান গ্রুপের নেতাকর্মী মান্নান গ্রুপের নেতাকর্মী নজির গ্রুপের উপর মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়।
আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাদল সরদারের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি মাহাবুব ভাইয়ের পিতাসহ কিছু মিডিয়াকর্মীদের বের করে দেয়া হয়। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলায়। আমি বিষয়টি শোনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বাজারে এসে ইফতার করি। এসময় বিপক্ষ লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের ৫জন আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান মুুকুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুবই দু:খজনক ঘটনা। এতে করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষের ঘটনা দলের প্রতি মানুষের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ফুলবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, চালের তালিকা নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে আমি ফোর্সসহ উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেই। এসময় কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তবে ইফতারের আগে মারামারি হয়ে আহত হয়েছে কিনা জানা নেই। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।
